তিউনিসিয়ার মধ্যাঞ্চলে দুটি নৌকা ডুবে নারী ও শিশুসহ ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকারী দল জানায়, নিহত ও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তারা সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স শহরের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান জিয়েদ এসদিরি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উন্নত জীবনের খোঁজে ইউরোপে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তিউনিসিয়া এবং প্রতিবেশী লিবিয়া আফ্রিকার অভিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। তিউনিসিয়া থেকে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার।

তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি রাতে স্ফ্যাক্সের কাছাকাছি উপকূল থেকে রওনা হওয়া দুটি নৌকায় মোট ১১০ জন অভিবাসী ছিলেন। তল্লাশির মাধ্যমে উদ্ধারকৃত ৮৩ জনের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।

এছাড়া, ৩১ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ার উত্তর উপকূলে আরেকটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে, যাতে দুই অভিবাসী নিহত হন। এর আগে, ২০ ডিসেম্বর স্ফ্যাক্স উপকূলে একটি নৌকাডুবিতে অন্তত ২০ সাব-সাহারান আফ্রিকান অভিবাসী প্রাণ হারান।

১২ ডিসেম্বরেও, স্ফ্যাক্সের উত্তরে জেবেনিয়ানা থেকে ২৭ জন আফ্রিকান অভিবাসী উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে ১৫ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *